প্রিন্ট এর তারিখঃ ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪, ৯:১১ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ অক্টোবর ১৪, ২০২৪, ৭:০৬ পি.এম
মানিকগঞ্জে শাপলা তুলতে গিয়ে মাদ্রাসা পড়ুয়া দুই শিশুর মৃত্যু
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় ডোবায় শাপলা তুলতে গিয়ে পানিতে ডুবে মাদ্রাসা পড়ুয়া দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার(১৪ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলার দিঘী ইউনিয়নের কয়রা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, উপজেলার দিঘী ইউনিয়নের কাগজিনগর গ্রামের প্রবাসী মোঃ রুবেল কাজীর মেয়ে আনহা আক্তার (৭) ও একই ইউনিয়নের খরসতাই গ্রামের মোঃ সিনহা আক্তার(৮)। নিহত দুই শিশু কয়রা গ্রামের মাদ্রাসাতুল ওহি-আল ইসলামিয়া মাদ্রাসার কেজি ওয়ানের শিক্ষার্থী। তারা দুইজন বান্ধবী ছিল।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকালে নিহত দুই শিশুর মাদ্রাসায় পরীক্ষা ছিল। এজন্য দুজনেই সকালে বাড়ি থেকে পরীক্ষা দিতে মাদ্রাসায় যায়। সকাল ৯ টা থেকে ১০ টা পর্যন্ত চলে পরীক্ষা। এর পর মাদ্রাসার পরীক্ষা শেষে চার থেকে পাঁচজন শিশু মিলে নিহত শিশু আনহা আক্তারের বাড়িতে পোশাকসহ পরীক্ষার হার্ডবোর্ড রেখে কয়রা গ্রামের চকে শাপলা তুলতে যায়। শাপলা ফুল তুলে ফেরার সময় নিহত দুই শিশু ডোবায় পরে যায়। সাতার না জানার কারনে তারা ধীরে ধীরে পানিতে ডুবে যায়। পরীক্ষা শেষে নিহতরা বাড়ি ফিরে না যাওয়ায় পরিবারের লোকজন তাদের খোঁজাখুঁজি করে। অনেক খোঁজ করার পরেও তাদের সন্ধ্যান পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে শাপলা তুলতে যাওয়া শিশুদের মধ্যে তানিসা নামের এক শিশু তার মায়ের কাছে ঘটনাটি বলে। পরে প্রায় এক ঘন্টা পরে ওই মাদ্রাসার দুইজন শিক্ষকসহ স্থানীয় লোকজন গিয়ে শিশু দুজনকে ডোবা থেকে উদ্ধার করে। এর পর শিশু আনহাকে কর্ণেল মালেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও শিশু সিনহাকে জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশু দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনা জানার পরে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
নিহত শিশু আনহার দাদা আবদুল হালিম বলেন, আমার নাতনি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য মাদ্রাসায় যায়। পরীক্ষা শেষে বাড়ি না আসায় চিন্তায় পরে যাই। পরে স্থানীয় লোকজনের কাছে শুনতে পারি আমার নাতনি শাপলা তুলতে গিয়ে পানিতে পরে গেছে। নাতনি বাড়িতে ঠিকই আসলো কিন্তু জীবিত না, লাশ হয়ে।
কয়রা গ্রামের বাসিন্দা মোঃ লিটন খান বলেন, কয়েকজন শিশু মিলে কয়রা চকে শাপলা ফুল তুলতে গেছিল। যেখানে ফুল তুলতে ছিল তার পাশেই একটি ডোবা আছে। শুষ্ক মৌসুমে সেখানে ভেকু দিয়ে মাটি কেটেছিল। ফুল তুলে ফেরার সময় হয়তো পাশের ডোবায় শিশু দুটি পরে গিয়েছিল।
এ বিষয়ে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) এস এম আমান উল্লাহ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পেরেছি, শিশু দুজনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়, সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
ই-মেইলঃ anmsiddique326@gmail.com