গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি।
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ডুমরিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি প্রার্থী যুবলীগ নেতা ফেরদাউস (৪৫) মৃতদেহটি একদিন পর গোপালগঞ্জ এর পাথালিয়া পিঠা গার্ডেন থেকে উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ সদর থানা পুলিশ। স্থানীয় সুত্রে জানা যায় ফেরদাউসকে গত ২৬ নভেম্বর মঙ্গলবার বিকাল ৪টার সময় টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাকুড়তিয়া বাজার থেকে অজ্ঞত দুই যুবকের সাথে মটর সাইকেল যোগে চলে যেতে দেখা গেছে। ঐদিন রাতে ফেরদাউস আর বাড়িতে ফেরেনি। পরেরদিন ২৭ নভেম্বর মঙ্গলবার দুুপুর ৩টার সময় ফেরদাউসের মুঠোফোন থেকে পরিবারের এক সদস্যের কাছে ফোন আসে ফেরদাউসের মরদেহ পাওয়া গেছে পাথালিয়া পিঠা গার্ডেনে। ফেরদাউস টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পারঝনঝনিয়া গ্রামের ইমাদাদ শেখ এর ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকার পরে দেশে এসে রাজনিতি ও ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলেন। ফেরদাউসের মৃত্যুর বিষয়টি পাথালিয়া পিঠা গার্ডেনের আকাশ নামের এক কর্মচারীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে পিঠা গার্ডেনে একটি রুম বুক করে। পরের দিন বুধবার দুপুর আনুমানিক ১টার দিকে রুম সার্ভিসের জন্য মৌসুমি নামের একজন কর্মী ডাকাডাকি করলে কোন সাড়া পাওয়া যায় না। পরে দরজা ধাক্কা দিয়ে রুমে প্রবেশ করে দেখা গেলো ফেরদাউসের নিথর দেহ পড়ে আছে। পরে গার্ডেরেন সকল কর্মচারী এক হয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানার মুঠোফোনের মাধ্যমে মৃত্যুর বিষয়টি জানানো হয়। ফেরদাউসের মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ সাজিদুর রহামন বলেন আমারে কাছে দুপুর ২টার কিছু সময় পরে মুঠোফোনে একটি ফোন আসে পিঠা গার্ডেন থেকে। সাথে সাথে ঘটনা স্থলে গিয়ে দেখা যায় পিঠা গার্ডেনে খাটের উপরে মরহদেহটি পড়ে আছে। তার শরীর ঠান্ডা এবং দেহটি শক্ত প্রথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছে মৃত্যুর ঘটনাটি রাতেই ঘটতে পারে। মৃত দেহের গায়ে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায় নি। এবং তার রুম থেকে উত্তেজনা মূলক ঔষধের প্যাকেট, সিগারেটের শেষ অংশসহ নিশার আলামত পাওয়া গেছে। পিঠা গার্ডেনের সিসি টিভি ফুটেজ চেক করে দেখা যায় ২৬ তারিখ ৫.৫৯ মিনিটে ঐ কক্ষে একটি মেয়ে সহ মৃত ব্যাক্তি প্রবেশ করে। পরের দিন ২৭ তারিখ সকাল ৭.১৫ মিনিটে ঐ কক্ষ থেকে একটি মেয়ে বের হয়ে চলে যায়। মামলা প্রক্রিয়াধী তদন্ত করে বিস্তারিত বলা যাবে। মরা দেহটি প্রাথমিক স্রতহাল রিপোর্ট করে ময়না তদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গোপালগঞ্জের পিঠা গার্ডেনের সত্ত্যাঅধিকারী প্রকৌশলী ফারুকের মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান আমি বিষটি সুনেছি বিস্তারিত জানিনা আমি ঢাকা কর্মস্থলে আছি।
আপনার মতামত লিখুন :