বাঁশআড়া কাশিমপুর দরবারের ৩১ তম বাৎসরিক ওরশ মোবারক ও গুনীজন সম্মাননা সৈয়দা রাশিদা বারী ২৪ তম উপাধি ও ৯৫ তম সম্মাননায় ভূষিত হলেন


প্রকাশের সময় : নভেম্বর ২৯, ২০২৪, ৯:০৬ অপরাহ্ন / ৭৯
বাঁশআড়া কাশিমপুর দরবারের ৩১ তম বাৎসরিক ওরশ মোবারক ও গুনীজন সম্মাননা সৈয়দা রাশিদা বারী ২৪ তম উপাধি ও ৯৫ তম সম্মাননায় ভূষিত হলেন

বাঁশআড়া কাশিমপুর দরবারের ৩১ তম বাৎসরিক ওরশ মোবারক ও গুনীজন সম্মাননা

সৈয়দা রাশিদা বারী ২৪ তম উপাধি ও ৯৫ তম সম্মাননায় ভূষিত হলেন

রাকিব হোসেনঃ

আহলে সুন্নাত ওয়াল জমাত খানদানে কাদরিয়া তরিকায় মাইজভান্ডারিয়া মেজরায়ে গাউছীয়া আঞ্জুমান কাদরি ৩১ তম বার্ষিক তিন দিন ব্যাপী বাৎসরিক ওরশ মোবারকের উদ্বোধন ও গুণীজন সম্মাননা ২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার ২৯ নভেম্বর পীরে কামেল শাহ সুফি হযরত নকছের আলী আল-মাইজভান্ডারীর আয়োজনে বাঁশআড়া কাশিমপুর ভান্ডারীয়া দরবার শরীফ প্রাঙ্গণে ওরশ মোবারক এর উদ্বোধন করা হয়।

ভাষা সৈনিক কন্যা কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, সম্পাদক ও সংগঠক সৈয়দা রাশিদা বারীকে সাহিত্যের সকল শাখায় একনিষ্ঠ অতুলনীয় অবদান তথা আধ্যাত্মিক ইসলাম বিষয়ক রচনায় সুপন্ডিত সুদক্ষ হওয়ায় গুণীজন সম্মাননা ২০২৪ প্রদান ও শামস তাবরিজি উপাধিতে ভূষিত করা হয় এবং অতিথিবৃন্দের মাঝে ক্রেস প্রদান করা হয়।

এ সময় শাহ সুফি মোঃ নকছের আলী আল মাজভান্ডারীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি কুষ্টিয়া জেলা বিএনপি যুগ্ন আহবায়ক কুমারখালীর সাবেক পৌর মেয়র শিল্পপতি নূরুল ইসলাম আনসার প্রামানিক, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সাবেক অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ও কুমারখালী শিল্পকলা একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক কে এম আলম টমে, বগুড়া ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রাক্তন সহকারী অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আবুল হাসিম, ভারতীয় সাংবাদিক সম্পা দাস, রাজবাড়ী মহিলা পরিষদের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক কবি সাহিত্যিক সৈয়দা তানিয়া সিমি, রাজবাড়ী মহিলা পরিষদের শিক্ষা সংস্কৃতিক সম্পাদিকা কানিজ ফাতিমা, কুমারখালী বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য ফাভিহা ইবনাথ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে বক্তাদের দাবী, সৈয়দা রাশিদা বারী কুমারখালীর মেয়ে, সে তার সাহিত্য সংস্কৃতি বিষয়ক যোগ্যতায় বাংলাদেশ সহ বিশ্বে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। তিনি আন্তর্জাতিক পুরস্কার ও নানান সম্মানায় ভূষিত হয়েছেন। তার যোগ্যতা অনুযায়ী বাংলাদেশ সরকারের কাছে আমাদের সকলের দাবি তাকে যেন সাহিত্যের উপর জাতীয় স্বীকৃতি সম্মাননা ও পুরস্কার (বেগম রোকেয়া পদক, বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার, একুশে পদক) এ ভূষিত করা হয়।

এছাড়াও, ভাষা সৈনিক কন্যা কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, সম্পাদক ও সংগঠক সৈয়দা রাশিদা বারীকে অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিন ভারতীয় একটি মিডিয়ার পক্ষ থেকে ভাষা বিজ্ঞান উপাধি ও তৃতীয় দিন আন্তর্জাতিক গাউছিল আজম সাংস্কৃতিক পরিষদের পক্ষ থেকে রাবেয়া বসরী সম্মাননা ও উপাধি দেওয়া হবে।

উল্লেখ, এই বাংলাদেশে কি সামগ্রিক বিশ্বেও এমন কোন নারী লেখক নাই যে, এক জনমে জীবনের এতো স্বল্প সময় পরিসরে, সাহিত্য অবদান বিস্ত্রর জায়গায় লাভ করেছেন। সাহিত্য জগৎতে তিনি সাহিত্যের রানী’র মতোই আসন লাভ করেছেন। পুরম্নষ্কারটা উপাধি সম্পন্ন তার জন্য ঠিক আছে বটে। এতো ব্যাপক অর্জন করেছেন তিনি, যা অহংকার করারই মতোই কিন্তু তার কোন গর্ব অহংকার নাই। উলেস্নখ্য যে এই গুণী মানুষটি এ যাবৎ ভারী ভারী এবং গুরুত্বপূর্ণ ২শত এর উপর গ্রন্থ রচনা করেছেন। তবে প্রকাশিত গ্রন্থ ১শতটিরও উপরে, বেশকিছু উলেস্নখযোগ্য অন্ত্নত ১০০টি গ্রন্থ প্রকাশিত অপেক্ষায় কাজ চলছে।

যা তিনি এক সংঙ্গেই দিতে চান এবং কারণ অনেক বর্ণণায় ব্যাপার আছে বে জানান তিনি। তিনি ৪ হাজারেরও বেশি গান লিখেছেন। তবে শুধু সৈয়দা রাশিদা বারীই নয়, এ যাবতকালে বেশী রচনাশীল কোন গীতিকারই জীবদ্দশাশ তার নিজের রচিত সব গান প্রকাশ করেন নাই। যারা বিপুল লেখেন তাদের পক্ষে এটা সম্ভব না। লালন, নজরুল, প্রভৃতি গীতিকারের গান, পরবর্তী পুরম্নষ, ভক্ত উত্তরসূরী কর্তৃক প্রকাশ করেছে, এমনকি এখনও যা অব্যাহত আছে।

সৈয়দা রাশিদা বারী সাহিত্যে ও সংস্কৃতির উপরে সংবর্ধনা, সম্মাননা, পুরষ্কার, ক্রেস্ট, উত্তরীয়, মেডেল, মানপত্র, শুভেচ্ছা শদ্ধা ও প্রশংসাপত্র প্রভৃতি পেয়েছেন,  স্থানীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিকসহ প্রায় ৯০টি। তবে উপাধী পেয়েছেন প্রায় ২৪টি। এজন্য মিডিয়ার পক্ষথেকে অভিনন্দন তাকে। এটাও বাংলাদেশের সাহিত্য সংস্কৃতি ক্ষেত্রে উন্নয়ন উন্নতির এক বৃহৎ- মহামূল্যবান সংযোজন। তার গর্ব যে তিনি চেয়ে এবং ধন্যা দিয়ে কখনোই কোন পুরষ্কার গ্রহণ করেন নাই। তার সৃজনশীল কর্মকান্ডের উপর নজর বিশেস্নষণে যে সংস্থা মূলায়ন করে সম্মাননা দিয়েছে, উপাধি দিয়েছে, সেটায় মাত্র গ্রহণ করেছেন কৃতজ্ঞতা চিত্তে। তিনি বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রের গীতিকার। জাতীয় সচিত্র মাসিক ‘স্বপ্নের দেশ’ (ঢাকা) এর সম্পাদক ও প্রকাশক।  তিনি দেশ বাসীর কাছে দোয়া প্রার্থী। আমাদের মিডিয়ার পক্ষ থেকে অভিনন্দনসহ সাহিত্যের উজ্জ্বল ভবিষ্যত ও সুস্বাস্থ্য দীর্ঘায়ু কামনা করছি।