যশোরে গুলজার ও তার ছেলের বিরুদ্ধে জমির পর্চা জালিয়াতির অভিযোগ


প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ২৪, ২০২৪, ৪:০০ অপরাহ্ন /
যশোরে গুলজার ও তার ছেলের বিরুদ্ধে জমির পর্চা জালিয়াতির অভিযোগ

মো: রবিউল ইসলাম (লাভলু):
যশোর সদরের কাশিমপুর ইউনিয়নের ১১৪ নং ঘোনা মৌজার নওদাগ্রামে মৃত: মোসলেম আলী ছেলে গুলজার হোসেন ও গুলজার হোসেনের ছোট ছেলে আলিফ হোসেনের বিরুদ্ধে জমির পর্চা জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, গুলজার হোসেন তার ছেলে আলিফ হোসেন চলতি বছরের ৪ ফেব্রুয়ারী চাষাবাদ জমিতে পানি বিক্রির উদ্দেশ্যে যশোর বিএডিসি অফিসে গভীর নলকুপের জন্য আবেদন করে। আবেদনের সাথে গুলজার হোসেনের নিজ নামীয় জমির ভুয়া পর্চা যুক্ত করেন। যার খতিয়ান নং ১৮২ (আর এস)। যেখানে দাগ নং ৩৪, ৩৫, ২১২, ২৩১, ২৩৬, ২৪০, ২৪১ উল্লেখ আছে, মোট জমির পরিমাণ ৯৯ শতক। বিএডিসির সহকারী প্রকৌশলী প্রসেনজিত, প্রকৌশলী জাকির হোসেন আবেদনটি নিয়ে সরোজমিনে তদন্তে গেলে গুলজার হোসেন তার ছেলে আলিফ হোসেনের জালিয়াতির ফাঁদ বেরিয়ে আসে। ওই দুই প্রকৌশলী তদন্তে জানতে পারেন গুলজার হোসেন আবেদনের সাথে যে পর্চা জমা দিয়েছেন সেটি ভুয়া, তার নিজের বানানো, অন্যের পর্চা নিয়ে তার নাম বসিয়ে জমির মালিকানা দাবি করে এই পর্চা জমা দেন।
আরো জানা যায় তিনি যে পর্চা জমা দিয়েছেন সেটি মুলত ঘোনা গ্রামের জহুরুল হকের ছেলে সিরাজুল ইসলামের। ওই ভুয়া পর্চাটির ফটোকপির ওপর যে সত্যায়িত সিল ও স্বাক্ষর করা হয়েছে সেটি জালিয়াতি। গুলজার ও তার ছেলে আলিফ সরকারি এমএম কলেজের অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রেজাউল করিম খান এর স্বাক্ষর ও সিল নকল করেছে। অনুসন্ধানে গেলে অধ্যাপক রেজাউল করিম খান মুঠো ফোনে বলেন আমি ২০১৯ সালে অবসর গ্রহণ করেছি। আমি কোন পর্চায় বা অন্য কোন কাগজে সত্যায়িত করিনি। আমার স্বাক্ষরের সাথে মিল করার চেষ্টা করে কে বা কারা আমার স্বাক্ষর জালিয়াতি করেছে। আমি এ ব্যাপারে জানি না। আসলে আমার স্বাক্ষরের সাথে এই স্বাক্ষরের কোন মিল নেই। যারা এই কাজ করেছে অন্যায় করেছে আমি শাস্তি দাবি করি।
সহকারী প্রকৌশলী প্রসেনজিত বলেন, নকল পর্চা পাওয়ায় কারণে আবেদন বাতিল করিলে গুলজার হোসেন ও তার ছেলে আলিফ হোসেন আমাকে মারপিটের হুমকি দিয়েছে এবং আবেদনটি পুনরায় গ্রহণ করার জন্য জোর চেষ্টা চালাচ্ছে।
ঘটনার বিষয়ে পাঁচবাড়িয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নায়েব সাহাদত হোসেন বলেন, ১১৪ নং ঘোনা মৌজার ১৮২ নং খতিয়ানে সিরাজুল ইসলাম ও পিতা জহুরুল হকের নাম নথিভুক্তি আছে। গুলজারের নাম নাই। বিষয়টি খুবই নেক্কারজনক। আইন অনুয়ায়ী এই প্রতারকদের শাস্তি হওয়া উচিত বলে মনে করি। ভষ্যিৎতে এমন ঘটনা যেন কেউ না ঘটায়।
সহকারী ভূমি কমিশনার মোঃ রিয়াজ উদ্দিন আহেম্মদ বলেন, এই বিষয়টি নেক্কারজনক, কেউ অভিযোগ দিলে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।