রাজশাহীতে ৩ পুলিশ বক্স ভাঙচুর, শ্রমিক লীগ-ছাত্রলীগের কার্যালয়ে আগুন


প্রকাশের সময় : অগাস্ট ৩, ২০২৪, ৪:০৫ অপরাহ্ন / ৬০
রাজশাহীতে ৩ পুলিশ বক্স ভাঙচুর, শ্রমিক লীগ-ছাত্রলীগের কার্যালয়ে আগুন

রাজশাহীতে তিনটি পুলিশ বক্স, রেলওয়ে শ্রমিক লীগের কার্যালয় ও ছাত্রলীগের কার্যালয়ে আগুন এবং ভাঙচুর চালিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভকারীরা। এসময় এক পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করা হয়। হামলা চালানো হয় গণমাধ্যমের কর্মীদের উপর। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত নগরীর তালাইমারী হয়ে কামারুজ্জামান চত্বর পর্যন্ত শোডাউন দিয়ে আজকের মতো কর্মসূচি স্থগিত করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীদের কোথাও বাঁধা দেওয়া হয়নি। তারা তালাইমারী মোড়ে জমায়েতের পর বিভিন্ন জায়গায় অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর করে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিবে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী তালাইমারী মোড়ে অবস্থান নিতে শুরু করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে তারা স্লোগান দিতে শুরু করেন। জমায়েত কিছুটা বাড়লে তারা হামলা চালান তালাইমারী পুলিশ বক্সে। মোড়ে থাকা পুলিশ বক্সটি ভাঙচুর করা হয়। এরপর সেখানে থাকা পুলিশ সদস্য সাইফুল ইসলামকে লোহার পাইপ দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। সাংবাদিক রাজু আহমেদ ও সামাদ খান পুলিশ সদস্যকে রক্ষায় এগিয়ে আসলে তাদেরও মারধর করা হয়।

তালাইমারী মোড় থেকে মিছিল নিয়ে বিক্ষোভকারীরা ভদ্রার দিকে যাওয়ার সময় সড়কের পাশে থাকা ছাত্রলীগের কার্যালয়ে হামলা চালায়। ভাঙচুর করে ওই কার্যালয়ে থাকা আসবাবপত্রে আগুন ধরিয়ে দেয়। ভদ্রার মোড়েও পুলিশ বক্স ভাঙচুর করা হয়। ভদ্রার মোড় থেকে কামারুজ্জামান চত্বরের দিকে বিক্ষোভ মিছিল যাওয়ার সময় তারা হামলা চালায় রেলওয়ে শ্রমিক লীগের কার্যালয়ে। সেখানেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় আসবাবপত্রে। ভাঙচুর করা হয় সড়কের সৌন্দর্যবর্ধনের রেলিং। কামারুজ্জামান চত্বরে গিয়ে তারা জাতীয় চারনেতার অন্যতম শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামানের প্রতিকৃতিতে রঙ দিয়ে বিকৃত করেন। রেললাইনের পাশে থাকা পুলিশ বক্সটি ভাঙচুর করেন। সেখানে হামলা চালানো হয় সাংবাদিক রাজিব হাসান ও মাহফুজুর রহমান রুবেলের উপর। এছাড়া পিটিয়ে আহত করা হয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাজশাহীর সাবেক সমন্বয়ক অর্ণবকে। তিনি এই আন্দোলনের শুরুর দিকে আওয়ামী লীগের সমাবেশে যোগ দিয়ে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেন।

মহানগর পুলিশের মুখপাত্র জামিরুল ইসলাম জানান, আইন-শৃংঙ্খলাবাহিনী শুরু থেকে ধৈর্য্যের পরিচয় দিয়েছে। কোনো রকম সহিংসতা ছাড়াই যাতে বিক্ষোভকারীরা তাদের দাবি জানিয়ে চলে যায়, সেদিকে পুলিশের নজর ছিল। তিনটি পুলিশ বক্স ভাঙচুর, পুলিশ সদস্যকে মারধর, কিছু স্থাপনায় আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। তবে এসব ঘটনায় পুলিশ কাউকে আটক করেনি।