রাজধানীর সড়কগুলোতে বেড়েছে যান চলাচল


প্রকাশের সময় : জুলাই ৯, ২০২৪, ২:০৩ অপরাহ্ন / ৬৩
রাজধানীর সড়কগুলোতে বেড়েছে যান চলাচল

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে ও ২০১৮ সালের প্রজ্ঞাপন বাতিলের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের ‘বাংলা ব্লকেড’ (সড়ক অবরোধ) কর্মসূচি স্থগিত থাকায় রাজধানীর সড়কগুলো বেড়েছে যান চলাচল। বিশেষ করে যারা পারিবারিক এবং অন্যান্য কাজে সড়কে তীব্র যানজটের ভয়ে রাস্তায় বের হতেন না, শিক্ষার্থীদের ব্লকেড না থাকায় তারা আজ বের হয়ে যে যার কাজে যাচ্ছেন। মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সকালে রাজধানীর রামপুরা, হাতিরঝিল, তেজগাঁও, বিজয় স্মরণি, আগারগাঁওয়ের সড়ক ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।

সোমবার শিক্ষার্থীরা একদফা দাবি আদায়ে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে ‘বাংলা ব্লকেড’ মঙ্গলবার স্থগিত রাখেন। কার্যত শিক্ষার্থীদের টানা আন্দোলনের কারণে প্রতিদিনই রাজধানীর সড়কগুলো দুপুরের পর থেকে রাত পর্যন্ত স্থবির হয়ে যেতো। শিক্ষার্থীরা রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক শাহবাগ, সায়েন্সল্যাব, বাংলামোটর, নিউমার্কেট, মৎস্যভবন, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট এলাকায় অবস্থান নিয়ে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করেছেন। এর রেশ পড়তো পুরো রাজধানীতে। শিক্ষার্থীদের ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি মঙ্গলবারের জন্য স্থগিত রেখে দাবি আদায়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে গণসংযোগ ও অনলাইনে মতবিনিময় কর্মসূচি দেওয়ায় ঢাকার সড়কে বেড়েছে যান চলাচল ও মানুষের উপস্থিতি। রামপুরা সেতুর ওপর বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন উত্তরায় অসুস্থ আত্মীয়কে দেখার জন্য মিরাজুল ইসলাম। বার্তা২৪.কমকে মিরাজুল ইসলাম বলেন, উত্তরায় আমার এক আত্মীয় বেশ অসুস্থ। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন থাকায় গত কয়েকদিন ধরে সেখানে যেতে পারিনি। মঙ্গলবার কর্মসূচি না থাকায় আত্মীয়কে দেখার জন্য উত্তরা যাচ্ছি। একই রকম অনুভূতির কথা জানালেন বনশ্রীর বাসিন্দা ইফতেখার হোসেন। তিনি বাসা-বাড়ির হোল্ডিং ট্যাক্স দেওয়ার জন্য মহাখালী সিটি কর্পোরেশনের আঞ্চলিক অফিসে যাওয়ার জন্য রামপুরা সেতুতে দাঁড়িয়ে ছিলেন। বার্তা২৪.কমকে ইফতেখার জানালেন, রোববার হোল্ডিং ট্যাক্স দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে যানজটের ভয়ে বাসা থেকে বের হইনি। আজ আন্দোলন না থাকায় বাসা থেকে বের হয়েছি।

ইফতেখার ও মিরাজের মতোই নগরবাসীর অনেকেই শিক্ষার্থীদের সড়কে অবস্থানের কারণে নিজেদের ব্যক্তিগত জরুরি কাজ শেষ করতে পারেননি। মঙ্গলবার সড়কে তাদের কর্মসূচি না থাকায় যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে দেখে নিজেদের কাজে বের হয়েছেন।