শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চায় আওয়ামী লীগ, নাকচ করলেন সমন্বয়ক


প্রকাশের সময় : অগাস্ট ৩, ২০২৪, ৩:৫২ অপরাহ্ন / ১০৫
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চায় আওয়ামী লীগ, নাকচ করলেন সমন্বয়ক

আলোচনায় বসতে চান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও ১৪–দলীয় জোটের নেতারা। আওয়ামী লীগের তিন নেতাকে আলোচনার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আলোচনায় থাকতে ১৪–দলীয় নেতাদের অনুরোধ জানানো হয়েছে । অবশ্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার প্রথম আলোকে বলেছেন, ‘এখন আর আলোচনার সুযোগ নেই। সিদ্ধান্ত আসবে রাজপথ থেকে।’ আওয়ামী লীগ নেতারা জানিয়েছেন, দলের পক্ষ থেকে তিনজনকে আলোচনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁরা হলেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম ও মাহবুব উল আলম হানিফ। দলীয় সূত্র জানায়, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনুকেও আলোচনায় থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে। জানতে চাইলে মাহবুব উল আলম হানিফ প্রথম আলোকে বলেন, সমন্বয়কদের সঙ্গে তাঁদের এখনো যোগাযোগ হয়নি। যোগাযোগ করা হবে। এদিকে ‘সারা দেশে ছাত্র-নাগরিকের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা করে খুনের প্রতিবাদ ও ৯ দফা’ দাবিতে গতকাল শুক্রবার নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তারা আজ শনিবার সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল ও পরদিন রোববার থেকে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে।

এর মধ্যেই আলোচনায় বসার উদ্যোগের বিষয়টি জানা গেল। বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার সরকারের সঙ্গে আলোচনার সম্ভাবনা নাকচ করে দেন। আজ বেলা দুইটার দিকে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিচার, দায়ীদের পদত্যাগ ও আটক এবং গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মুক্তিসহ ৯ দফা দাবিতে আন্দোলন চলমান আছে। কারও সঙ্গে আলোচনা নয়, সিদ্ধান্ত আসবে রাজপথ থেকে—এই মন্তব্য করে আবু বাকের আরও বলেন, ‘যখন আমরা ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) কার্যালয়ে বন্দী ছিলাম, তখনই আন্দোলন স্থগিত করতে বলা হয়েছিল। এমনকি জোর করে আলোচনার জন্য নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনাও চলছিল। এই প্রস্তাবের প্রতিবাদে ও মুক্তির দাবিতে আমরা অনশনে বসেছিলাম।’

আবু বাকের বলেন, তাঁরা আপসহীন থাকবেন। এ জন্য যেকোনো মূল্য পরিশোধে রাজি।