বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সেন্টানিয়াল কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ।


প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ৩, ২০২৪, ৭:১১ অপরাহ্ন / ২৮
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সেন্টানিয়াল কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ।

গোপালগঞ্জ সংবাদদাতাঃ
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সেন্টানিয়াল কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ শহিদুল
ইসলাম, কারখানার সহকারি তাইজুদ্দিন এবং অধ্যক্ষের সহযোগী গার্মেন্টস প্রশিক্ষক আজিমুল হোসেনদের
বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
গত ২৭ শে জুলাই এসেট প্রকল্পের আওতায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের সময় নির্ধারণ করেন অধ্যক্ষ শহিদুল
ইসলাম। তিনি নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি কোন পত্রিকা অথবা অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে না দিয়ে নিজের ফেসবুক
আইডিতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি পোস্ট করে প্রকাশ করেন। ২৭ জুলাই নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়ার কথা থাকলেও
পরীক্ষা নেওয়ার তারিখ নির্ধারণ করেন ২৯ জুলাই এই নিয়োগ পরীক্ষায় শুধুমাত্র তার নিজস্ব প্রার্থী উপস্থিত
হন। বিষয়টি নিয়ে অফিসিয়াল দ্বন্দ্ব হওয়ার কারণে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই প্রতিষ্ঠানের এক প্রশিক্ষক
সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন। সাংবাদিকরা অধ্যক্ষের কাছে নিয়োগ বাণিজ্যের বিষয় এবং বিজ্ঞপ্তির
বিষয় জানতে চাইলে তিনি সঠিক কোন জবাব দিতে পারেনা। যার কারণে ২৯ জুলাই এসেট প্রকল্পের নিয়োগ
স্থগিত করে দেন অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম। পহেলা ডিসেম্বর বি এম ইটির তিনদিন ট্রেনিং এর ভর্তির জন্য
ফাহাদ নামে এক প্রশিক্ষণার্থী বঙ্গবন্ধু সেন্টারিয়াল কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে কারখানার সহকারি
তাইজুদ্দিনের কাছে আসে, তিনি জানান আমি শুধুমাত্র নড়াইল জেলার প্রশিক্ষণার্থীদের কে ভর্তি করি
টঙ্গীপাড়া গোপালগঞ্জের কোন প্রশিক্ষণার্থীদের কে আমি ভর্তি করায় না তাও ভর্তি হতে দুই থেকে তিন
হাজার টাকা নিয়ে থাকি আপনি আমাকে কত টাকা দিবেন। বিষয়টি ওই ভর্তি ইচ্ছুক প্রশিক্ষণার্থী গণমাধ্যম
কর্মীদেরকে জানান। পরের দিন এই গণমাধ্যম কর্মী ওই প্রশিক্ষনণার্থী সহ আরো দুই তিনজন
প্রশিক্ষণার্থীদের নিয়ে অফিস সহকারী কাম কারখানা সহকারী তাইজুদ্দিনের কাছে যায় গণমাধ্যম কর্মী
পরিচয় না দিয়ে ভর্তির বিষয়ে কথা বলেন তাইজুদ্দিনের বক্তব্য ছিল এরকম আমি শুধুমাত্র নড়াইল জেলার
প্রশিক্ষনারীদের কে ভর্তি করায় গোপালগঞ্জ টুঙ্গিপাড়ার স্থানীয়ওদেরকে আমি ভর্তি করাই না । ভর্তি
হতে বি এম ই টি তে আবেদনসহ খরচ হবে ৫৫০ টাকা আমাকে কত টাকা দিবেন। আমাকে দিতে হবে দুই থেকে
তিন হাজার টাকা। আমাকে টাকা দিয়ে ভর্তি হলে আগামীকালকে থেকেই ক্লাস করতে পারবে। পরে বিষয়টি নিয়ে
কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম সঙ্গে এবং গার্মেন্টস প্রশিক্ষক অধ্যক্ষের সকল
দুর্নীতিতে সহযোগী আজিমুল হোসেনর কাছে ভর্তির বিষয়ে দুই থেকে তিন হাজার টাকা লাগে কিনা জানতে
চাইলে শহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের প্রশ্নের কোন উত্তর দিতে বাধ্য না বলেন এবং সহযোগী আজিমুল ইসলাম
সাংবাদিকদের উপর চটে যান, বলেন আপনারা এভাবে আসলে আমরা উত্তর দিতে বাধ্য না আপনারা আমাদের
কাছে কি কি জানতে চান লিখিতভাবে আবেদন করবেন আমরা সময় নির্ধারণ করে পরে বিষয়ে কথা বলব।
সাংবাদিকদের ভিডিও রেকর্ডিং প্রমাণসহ তাদেরকে শুনাইলেও তারা এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
কারখানার সহকারি কাম অফিস সহকারী তাইজুদ্দিনের সাথে এ বিষয়ে কথা বললে তিনি বলেন আমি টাকা চাইছি
আপনারা যা পারেন করতে পারেন টাকার বিষয়টা অধ্যক্ষ স্যার এবং অধ্যক্ষের সহযোগী আজিমুলসার ও
জানেন আপনারা যা ইচ্ছা তা করতে পারেন আমি কোন বক্তব্য দিব না। এলাকার বেকার যুব সমাজদেরকে
আত্মকর্মসংস্থানে রূপান্তরিত করার জন্য সরকার টুঙ্গিপাড়া বঙ্গবন্ধু সেন্টেনিয়ার কারিগরি প্রশিক্ষণ
কেন্দ্র চালু করেন। এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে টুঙ্গিপাড়া গোপালগঞ্জের বেকার যুব সমাজ যদি উপকৃত না হতে
পারে তাহলে এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র কি শুধুমাত্র নড়াইল জেলার লোকের জন্য স্থাপিত হয়েছে। এই কথাগুলো
বলেছেন গোপালগঞ্জ টুঙ্গিপাড়ার বেকার যুবসমাজ। অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম এর আগেও এই কারিগরি

প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মালামাল কেনার জন্য টাকা নয় ছয় করছেন। অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম কারখানা সহকারী
তাইজুদ্দিন এবং গার্মেন্টস প্রশিক্ষক আজিমুল ইসলামের দুর্নীতির বিষয়ে উর্বর্তন কর্মকর্তাদের কাছে
বেকার যুবসমাজ তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন।