টুঙ্গিপাড়া উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান উধাও,


প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ৫, ২০২৫, ৬:৩০ অপরাহ্ন /
টুঙ্গিপাড়া উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের  চেয়ারম্যান উধাও,

জনগণ ভোগান্তিতে
গোপালগঞ্জ সংবাদদাতাঃ
টুঙ্গিপাড়া (গোপালগঞ্জ), ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া
উপজেলার ৩ নং গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদে দীর্ঘদিন ধরে চেয়ারম্যান লাল বাহাদুর
অনুপস্থিত থাকায় সাধারণ জনগণের মধ্যে চরম ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে। গত ৫
আগস্টের পর থেকে চেয়ারম্যানের দেখা মেলেনি এবং তিনি গ্রেপ্তারের ভয়ে পালিয়ে
বেড়াচ্ছেন বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন।এদিকে, জনগণ পরিষদে বিভিন্ন সেবা
নিতে এসে প্রতিদিন চেয়ারম্যানের অপেক্ষায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকলেও, তার
দেখা মেলে না। কেউ অরিস সনদ, কেউ নাগরিক সনদ এবং জন্ম নিবন্ধন নিতে
আসলেও, পরিষদে উপস্থিত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের সেবা প্রদান করতে
পারছেন না। এছাড়া,গত ২৫ ডিসেম্বর থেকে চেয়ারম্যানের সাক্ষর করা না
থাকলেও,সূত্রে জানায় তার সহকারী উজ্জল মণ্ডল পরিষদে এসে হাজিরা খাতা
চেয়ারম্যানের অজ্ঞতাস্থানে নিয়ে চেয়ারম্যান কে দিয়ে অগ্রিম ও বকেয়া স্বাক্ষর
করান । এমনকি, গত নভেম্বর মাসে মাসিক মিটিং না হওয়া এবং চেয়ারম্যানের
অনুপস্থিতি জনগণের জন্য আরও বড় সমস্যা সৃষ্টি করেছে। গত কয়েক মাসে
কয়েকবার পরিষদে গণমাধ্যম কর্মীরা গেলে চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগাযোগ করতে
পারেননি। ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও, তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। গত
সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের কাজেও চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়ম উঠে এসেছে।
উদ্যোক্তা অসিত বিশ্বাস ও পরিষদ এ আসেনা ।তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে সে
বলে আমি মাসিক বেতন এর চাকরি করি না যে প্রতিদিন পরিষদ এ আসতে হবে ।
স্থানীয় জনগণ অভিযোগ করেছেন যে, চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতির কারণে তারা জন্ম
নিবন্ধন,অরিস সনদ,নাগরিক সনদ,সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য অনেকদিন
ধরে পরিষদে আসছেন কিন্তু কোনো কার্যকরী সেবা পাচ্ছেন না। মাসের পর মাস
পরিষদের কার্যক্রমে দুর্বিপাক এবং ভোগান্তি চলতে থাকায় তারা হতাশ।স্থানীয়রা
বলছেন আমরা চেয়ারম্যানের জন্য বহুদিন ধরে পরিষদে আসছি, কিন্তু তার দেখা

মেলেনি। আমাদের কাজগুলো করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষা করতে
হচ্ছে।গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিএবং অফিসের
কার্যক্রম বন্ধ থাকার কারণে সাধারণ জনগণের ভোগান্তির যেন শেষ নেই। দ্রুত
সময়ের মধ্যে চেয়ারম্যানের উপস্থিতি এবং স্বাভাবিক কার্যক্রম পুনরুদ্ধার করা না
হলে, এটি আরও বড় সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। স্থানীয় প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট
কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা জরুরি, যাতে জনগণের সেবা ও চালু রাখা যায়।