দিন দিন বাড়ছে মৃত্যুর হার, ধূমপানের কারণে


প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ২৯, ২০২৪, ৮:৩৯ অপরাহ্ন / ১৬
দিন দিন বাড়ছে মৃত্যুর হার, ধূমপানের কারণে

বাংলাদেশে তামাক বন্ধের বর্তমান পরিস্থিতি : চ্যালেঞ্জ এবং সমাধানের পথ নিয়ে দিনাজপুরে সাংবাদিকদের সাথে দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে দিনাজপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের ২৫ জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন।

রবিবার বাংলাদেশ ব্লাইন্ড মিশনের (বিবিএম) আয়োজনে ‘দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে তামাকের ক্ষতি কমানোর বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি’ প্রজেক্টের আওতায় দিনাজপুর শহরের পল্লীশ্রীর হল রুমে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মশালায় বলা হয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে প্রতিবছর তামাকের কারণে ৮০ লাখ মানুষ মৃত্যুবরণ করেন। ২০২২ সালের এক গবেষণা অনুসারে, বাংলাদেশে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ধূমপানের হার ২৮.৬ শতাংশ। এর মধ্যে পুরুষদের মধ্যে ধূমপানের হার ৪৭.৭ শতাংশ এবং নারীদের মধ্যে ধূমপানের হার ৮.৭ শতাংশ। ধূমপানের কারণে মৃত্যুর হার দিন দিন বাড়ছে। ২০২১ সালের এক গবেষণা অনুসারে, বাংলাদেশে ধূমপানের কারণে প্রতি বছর প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে পুরুষদের মধ্যে ধূমপানের কারণে মৃত্যুর হার ২০.৮ শতাংশ এবং নারীদের মধ্যে ধূমপানের কারণে মৃত্যুর হার ০.৯ শতাংশ।

এ ছাড়া ধূমপান ছাড়ার ব্যাপারে আলোচনায় বলা হয়, আচরণগত সহায়তার সঙ্গে ওষুধের সংমিশ্রণ সফলভাবে ধূমপান ত্যাগ করার সম্ভাবনাকে অনেক বাড়িয়ে দেয়। ডব্লিউএইচও তামাক ছাড়ার কার্যকরী চিকিৎসা হিসেবে ভেরেনিক্লিন, নিকোটিন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি (এনআরটি), বুপ্রোপিয়ন এবং সাইটিসিনের মতো ওষুধের সুপারিশ করেছে।

কর্মশালায় সাংবাদিকদের সুপারিশগুলো হলো, উন্মুক্তস্থানে ধূমপান না করা, ধূমপান এবং তামাকদ্রব্য কেনা-বেচায় ও উৎপাদনে আইনের কঠোর প্রয়োগ, সন্তানদের/পরিবারের সদস্যদের সাথে ধূমপানের ক্ষতিকর দিক নিয়ে কাউন্সিলিং, ধূমপান ছাড়তে উৎসাহ প্রদান করা, তামাক জাতীয় দ্রব্যর উপর অধিকহারে করারোপ করা, আইনের কঠোর প্রয়োগ করা, বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করা, স্কুল ও কলেজের পার্শ্ববর্তী এলাকার দোকানগুলোতে তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয় বন্ধ করা এবং লেখনীর মাধ্যমে তামাকের ক্ষতিকর দিকগুলো তুলে ধরা।

এসময় ধূমপান এবং তামাকজাত দ্রব্যের ক্ষতি ও প্রতিকার বিষয়ক উপস্থাপনা করেন উন্নয়ন কনসালটেন্ট শুভাশীষ চন্দ্র মহন্ত। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ব্লাইন্ড মিশনের অ্যাডমিন ও ফাইনান্স ম্যানেজার খন্দকার আবেদুল ইসলাম। উপস্থাপনায় ছিলেন বাংলাদেশ ব্লাইন্ড মিশনের প্রজেক্ট অফিসার তারেক মাহমুদ।