কুমিল্লায় সংঘর্ষে আহত অর্ধশতাধিক


প্রকাশের সময় : অগাস্ট ৩, ২০২৪, ৫:০৫ অপরাহ্ন / ৪০
কুমিল্লায় সংঘর্ষে আহত অর্ধশতাধিক

কুমিল্লায় বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, সংঘর্ষ ও গুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে অন্তত ৭ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে জানা গেছে।শনিবার (৩ আগস্ট) বেলা একটার দিকে কুমিল্লা নগরীর রেসকোর্স পুলিশ লাইনস এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে আহত শিক্ষার্থীদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। প্রত্যক্ষদর্শী ও শিক্ষার্থীরা জানায়, শনিবার সকাল ১০টার দিকে কুমিল্লা জিলা স্কুলে সামনে বিক্ষোভ মিছিল পালন করতে আসে শিক্ষার্থীরা। এ সময় মহানগর আওয়ামী লীগসহ যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা নিউমার্কেট ও স্টেডিয়াম এলাকায় অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে দেন। পরে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে ফৌজদারি মোড় হয়ে পুলিশ লাইনসের দিকে গেলে সেখানে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা শিক্ষার্থীদের ওপর ইটপাটকেল ও গুলিবর্ষণ করতে থাকে। এতে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে কমপক্ষে সাতজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। পরে আহতদের উদ্ধার করে কুমিল্লা নগরীর বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। লিবিদ্ধ ছয়জনকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হামলায় প্রাণ বাঁচাতে ছুটতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। তাদের মধ্যে অনেক নারী শিক্ষার্থী দৌড়ে গিয়ে পুলিশ লাইনসের ভেতর আশ্রয় নেন। পরে তাদের পুলিশ ভ্যানে করে ওই এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়।

আন্দোলনরত কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করতে এসেছি। আমাদের ভাইয়ের হত্যার বিচার চাইতে এসেছি। আমাদের কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বাধা সৃষ্টি করছে। আমাদের ওপর হামলা চালিয়ে নির্বিচারে গুলি করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পথে পথে বাধা দিয়েছে।’

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, শনিবার সকাল ১০টার দিকে কুমিল্লা জিলা স্কুল প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ মিছিলের জন্য জড়ো হতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে জিলা স্কুলের গেটে তালা ভেঙে ছাত্রছাত্রীরা ভেতরে ঢোকে। পরে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে নগরীর কান্দিরপাড় এলাকায় যেতে চাইলে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা শিক্ষার্থীদের বাধা দেয়। আর কুমিল্লা পুলিশ লাইন এলাকায় হামলা ও গুলি চালানোর সময় পুলিশ এবং বিজিবির সদস্যরা উপস্থিতি থাকলেও তাদের নিরব ভূমিকায় দেখা গেছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুমিল্লার অন্যতম সমন্বয়ক জান্নাতুল ইভা বলেন, ‘আমাদের অনেকে আহত হয়েছে। আমরা হামলার নিন্দা জানাচ্ছি। কতজন আহত হয়েছে এখনো সঠিক তথ্য পাইনি। ৫০ জনের বেশি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।’  এ বিষয় জানতে কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আতিক উল্লাহ খোকনকে একাধিকবার মোবাইল ফোনে কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার সাইদুর ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে বলে শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ রয়েছে। এখন পরিবেশ শান্ত।’