মোঃ মাসুদ রানা ( মিরপুর রিপোর্টার )
যখন বুকের রক্তে লিখেছি একটি নাম বাংলাদেশ।
..যখন মতিউর করাচীর খাঁচা ছিঁড়ে ছুটে গেল
মহাশূন্যে টি-৩৩ বিমানের দুর্দম পাখায় তার স্বপ্নের স্বাধীন স্বদেশ মনে করে ফেলে তার মাহীন
তুহিন মিলি সর্বস্ব সম্পদ; পরম আশ্চর্য
এক কবিতার ইন্দ্রজাল স্রষ্টা হ’ল তার অধিক কবিতা আর কোন বঙ্গভাষী কবে লিখেছে কোথায়?’
বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান-এর জন্ম হয় ১৯৪১ সালের ২৯ অক্টোবর
পুরোনো ঢাকার ১০৯ আগাসাদেক রোডের বাড়ীতে। তাঁর পিতার নাম আবদুস সামাদ আর মাতার নাম সৈয়দা মোবারকুন্নেসা। তাঁদের আদি বাড়ি নরসিংদী-জেলার রামনগর গ্রামে বর্তমানে গ্রামটির নাম বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর নগর। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সুদূর পশ্চিম পাকিস্তানের করাচী শহরে চাকুরীরত অবস্থায় একটি টি-৩৩ বিমান ছিনতাই করে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ’ করতে যেয়ে তিনি শহীদ হন। দিনটি ছিল ১৯৭১-এর ২০ আগস্ট- শুক্রবার। পশ্চিম পাকিস্তানী বিমান সেনাদের কঠোর নিরাপত্তা ভেদ করে সাহসী বৈমানিক মতিউর-এর মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণের প্রচেষ্টা পাকিস্তানকে বিরাট ভাবে ঝাঁকুনি দেয় এবং এতে তারা তাদের আসন্ন পরাজয়ে শঙ্কিত হয়ে উঠে। স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সনের ১৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সরকার ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমানের অসীম সাহসিকতা, দেশপ্রেম ও আত্মত্যাগের মূল্যায়ন স্বরূপ তাঁকে ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ খেতাবে ভূষিত করে। দীর্ঘ ৩৫ বছর পর ২০০৬ সালের ২৪ জুন তাঁকে শত্রুভূমি পাকিস্তান থেকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় এনে স্বাধীন বাংলার মাটিতে সমাহিত করা হয়।
আজ ও লক্ষ্য বাঙালি ভুলে নাই সেই মতিউর রহমানকে
তাইতো লক্ষ বাঙালি বীর মতিউর রহমানকে ৬৩ বছরের জন্মদিন শুভেচ্ছা জানালেন আর মহান আল্লাহ পাক যেন তার জীবনের গুনাহ সব মাফ করে দেন হাজার বাঙালির মহান আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ ।
আপনার মতামত লিখুন :