সনাতনী সম্প্রদায়ের ৮ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে কুষ্টিয়ায় গণসমাবেশ ও মিছিল


প্রকাশের সময় : নভেম্বর ৩, ২০২৪, ১:৩৫ অপরাহ্ন / ৫৭
সনাতনী সম্প্রদায়ের ৮ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে কুষ্টিয়ায় গণসমাবেশ ও মিছিল

কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ

বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতৃত্বাধীন ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কুষ্টিয়া জেলা শাখাসহ সকল সংখ্যালঘু ঐক্যমোর্চার উদ্যোগে সংখ্যালঘুদের অস্তিত্ব রক্ষায় ৮ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার ২ নভেম্বর বিকালে কুষ্টিয়া শ্রী শ্রী গোপীনাথ জীবন মন্দিরের সামনে গণ সমাবেশ ও পরবর্তী মিছিল নিয়ে কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান পদক্ষির্ণ করা হয়।

কুষ্টিয়া হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুদির কুমার শর্মার সভাপত্বি ও কুষ্টিয়া পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জয়দেব কুমার বিশ্বাসের সঞ্চালনায় এ সময় কুষ্টিয়া পুজা উদযাপন পরিষদের সহ-সভাপতি দোলাল দেব নাথ, বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বপন কুমার নাগ, বীর মুক্তিযোদ্ধা পলাশ সার্নাল, পরেশ রায় নাড়ু, যুগ্ম সম্পাদক নিলয় সরকার, অসিত সিংহ রায়, সাংগঠনিক সম্পাদক শিশির কুমার বিশ্বাস, কুষ্টিয়া পূজা উদযাপন পরিষদের পূজা বিষয়ক সম্পাদক সীমা রায়, কুষ্টিয়া জেলা যুব ঐক্য পরিষদের সভাপতি দিপেন পাল, কুষ্টিয়া জেলা ছাত্র ঐক্য পরিষদের সভাপতি পরিতোষ দাস, কুষ্টিয়া সদর উপজেলা সহ সভাপতি কৃষ্ণ কমল বিশ্বাস, ডাঃ উৎপল সেনগুপ্ত, কুমারখালী উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি নব কুমার দত্ত, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শংকর মজুমদার কাজল, কুমারখালী হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি সুধাংশু ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক নিত্য ঘোষ, মিরপুর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শক্তি সঞ্চয় পাল, সাধারণ সম্পাদক কাঞ্চন হালদার, ভেরামাড়া উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক প্রদীপ কুমার সরকার, দৌলতপুর পূজা উদযাপন পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিশিত রায়, খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জাকের আলী শুভ, কুষ্টিয়া হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, কুষ্টিয়া পূজা উদযাপন পরিষদ ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সহ হাজারো হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ উপস্থিত হয়।

সমাবেশে ৮ দফা দাবি-

১. সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিচারের জন্য দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দোষীদের দ্রুততম সময়ে উপযুক্ত শাস্তি প্রদান, ক্ষতিগ্রস্তদের যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে;

২. অবিলম্বে ‘সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন’ প্রণয়ন করতে হবে;

৩. ‘সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রণালয়’ গঠন করতে হবে;

৪. হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকে ‘হিন্দু ফাউন্ডেশন’-এ উন্নীত করতে হবে। পাশাপাশি বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টানধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকেও ফাউন্ডেশনে উন্নীত করতে হবে;

৫. ‘দেবোত্তর সম্পত্তি পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণ আইন’ প্রণয়ন এবং ‘অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন’ যথাযথ বাস্তবায়ন করতে হবে;

৬. সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সংখ্যালঘু শিক্ষার্থীদের জন্য উপাসনালয় নির্মাণ এবং প্রতিটি হোস্টেল প্রার্থনাকক্ষ বরাদ্দ করতে হবে;

৭. ‘সংস্কৃত ও পালি শিক্ষা বোর্ড’ আধুনিকায়ন করতে হবে;

৮. শারদীয় দুর্গাপূজায় পাঁচ দিন ছুটি দিতে হবে। পাশাপাশি প্রতিটি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসবে প্রয়োজনীয় ছুটি দিতে হবে ।