জিলা স্কুলে প্রাক্তন ছাত্রদের উদ্যোগে ফরম পূরণের জন্য বৃত্তি প্রদান


প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ৬, ২০২৪, ১:৫৭ অপরাহ্ন / ২৪
জিলা স্কুলে প্রাক্তন ছাত্রদের উদ্যোগে ফরম পূরণের জন্য বৃত্তি প্রদান
রাকিব হোসেনঃ
কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের ১৯৬৬ ব্যাচের প্রাক্তন ছাত্র আবুল হাসেম, আবু ফাতেহ, আশরাফ উদ্দিন নজু, হাবিবুল আলম, মমিনুল আজম ও শরফুদ্দিন আহমেদের উদ্যোগে এসএসসি-২০২৫ ব্যাচের ৫০ জন মেধাবী পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণের জন্য বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টায় কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের অডিটোরিয়ামে এ উপলক্ষ্যে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
জিলা স্কুলের প্রথম ব্যাচের ৬ জন প্রাক্তন শিক্ষার্থী স্কুলের জন্য কিছু করার প্রয়াস থেকে প্রতিবছর আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণের অর্থ ও অনান্য বিভিন্ন শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য স্কুল ড্রেস দিয়ে থাকেন। এছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সময়ে স্কুলের নানাধরনের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে সহযোগিতা ও পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
১৯৬৬ ব্যাচের প্রাক্তন ছাত্র, ফরম পূরণ অনুষ্ঠানের মূল উদ্যোক্তা ও প্রোগ্রাম সমন্বয়কারী আশরাফ উদ্দিন নজুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোহা. আমিরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক বাংলাদেশ বার্তা পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক আব্দুর রশিদ চৌধুরী। এছাড়াও অনুষ্ঠানে স্কুলের বেশ কয়েকজন শিক্ষক উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের উদ্দ্যেশ্যে মুল্যবান বক্তব্য রাখেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক আমিরুল ইসলাম বলেন, এই স্কুলের আঙিনা শেষ করার পর তাঁরা শুধু আমাদের মনেই রাখেননি, আমাদের সামগ্রিক খোঁজখবর নিয়েছেন। বিভিন্ন উন্নয়নমুখী কাজে সহযোগিতা ও পরামর্শ দিয়েছেন। তোমরাও একদিন এই অনুষ্ঠানের ধারাবাহিতায় সমাজের উন্নয়নে মূল ইন্টারপ্রেটার হিসাবে নিজেদের আত্মপ্রকাশ করবে।
অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বৃত্তি প্রাপ্ত এসএসসি-২০২৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী নাহিদ আহমেদ বলেন, এই উদ্যোগ আমাদের শুধু সহযোগীতাই করে না, অনুপ্রাণিতও করে। আমরাও যেন ভবিষ্যতে এরকম উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারি সেজন্য সকলের দোয়া চাই। এছাড়াও অনুষ্ঠানে জিলা স্কুলের বেশ কয়েকজন শিক্ষক উপস্থিত থেকে মূল্যবান বক্তব্য প্রদান করেন। সভাপতির সমাপনী বক্তব্যে আশরাফ উদ্দিন নজু বলেন, ১৯৬১ সালে প্রথম ব্যাচে এই স্কুলে ভর্তি হই। ৬৬ সালে ম্যাট্রিক পরীক্ষার্থী ছিলাম। আমাদের সবসময় ইচ্ছা ছিলো যে, আমরা স্কুলের জন্য কিছু করবো। সেই ইচ্ছা থেকেই প্রতিবছর দু’টি কাজ করে থাকি। একটা স্কুল শিক্ষার্থীদের ড্রেস দেওয়া ও ফরম পূরনের টাকা দেওয়া। তাছাড়া সবসময় আমাদের চেষ্টা থাকে স্কুলের জন্য ভালো কিছু করার।